ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। দেশ ও সমাজ তাদের দিকে তাকায়। তারা সকালের শিশির, ভোরের আলোর মতো নতুন জীবন বিকিরণ করে। তারা তাদের কর্মে দেশ ও সমাজের সকল অনাচার, অবিচার, অসঙ্গতিকে দূরে ঠেলে দেয়। তাদের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা তারা করতে পারে না। ছাত্র সমাজ জেগে উঠলে পুরো জাতি, দেশ ও বিশ্ব জেগে ওঠে। তারা তাদের সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে যেমন সংঘাতমুক্ত করে, তেমনি নৈতিকতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যে দেশকে সুখী ও সুন্দর করে।
অধ্যয়ন জীবন ছাত্রজীবন। ছাত্রজীবনে প্রাইমারি স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত বিদেশে বিভিন্ন গবেষণা অধ্যয়ন সবই অন্তর্ভুক্ত। একজন ছাত্র কিছুতেই পিছিয়ে থাকে না। ছাত্রজীবন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। ছাত্রজীবনেই মানুষ ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। ছাত্রজীবন থেকেই মানুষ জীবনকে প্রাচুর্যে ভরাতে শেখে। উদারতা, সততা, ন্যায়বিচার, শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, মহানুভবতার শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। প্রতিটি ছাত্রই জাতি গঠনের হাতিয়ার।
ছাত্রজীবন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়কে বলা হয় ভবিষ্যৎ জীবনের বীজ বপনের সময়। এখন যেমন বীজ বপন করা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতে ফলও কাটবে। এ সময় নিয়মিত জ্ঞানচর্চা করলে ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল ও সুখী হয়।
ছাত্রজীবনের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই সময়কে মানব জীবনের বীজ বপনের সময় বলা হয়েছে। একজন কৃষক যেমন সঠিক সময়ে বীজ বপন না করলে ভালো ফসল ফলাতে পারে না, তেমনি একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সঠিক শিক্ষার বীজ বপন করতে না পারলে সে ভবিষ্যত জীবনে উন্নতি ও সাফল্যের আশা করতে পারে না। ছাত্রজীবনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চরিত্র অর্জিত না হলে পরবর্তী জীবনে তা অর্জন করা যায় না।
ছত্রানং অধ্যামং তপঃ প্রত্যেক ছাত্রের অন্তরে সর্বদা জাগ্রত রাখতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। জাতির উন্নতির মূলে রয়েছে শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিজেকে সবসময় খারাপ সঙ্গ থেকে মুক্ত রাখুন এবং যথারীতি পাঠ্যবই অধ্যয়নে মনোযোগী হোন।
প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য জ্ঞান অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় করা গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে যাঁরা অদম্য উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তাঁদের যে প্রতিভা ছিল তা মূলত কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফল। অকার্যকর মেধা বলে কিছু নেই- এই বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় মানুষের মেধাকে শাণিত করে, শিক্ষার্থীকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে।
দেশ পরিচালনার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে। অর্জিত জ্ঞানকে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার জন্য উত্তম চরিত্রের প্রয়োজন। তাই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তাদের উত্তম চরিত্র গঠনের দিকেও নজর দিতে হবে। সকল প্রকার সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, অপবাদ, পরচর্চা ও অন্যায়ের ঊর্ধ্বে থেকে সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার ব্রত নিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এজন্য প্রত্যেক মানুষকে সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে। সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হল ছাত্রজীবন। কারণ ছাত্রজীবনে এসব অর্জনের যতো সুযোগ থাকে জীবনের অন্য সময়ে নেই, তাই ছাত্রজীবনে সবাইকে সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা অর্জন করতে হবে। আর যারা তা অর্জন করতে পারে তারা জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে।
ছাত্র নং আবদিমাং ট্যাপ ছাত্রদের মূলমন্ত্র। এই সংস্কৃত শব্দের অর্থ- অধ্যয়নই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা। ছাত্রজীবন মানেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগৎ। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখবে। আর এই জ্ঞান ব্যবহার করে ভবিষ্যতে কর্মমুখী জীবনে প্রবেশ করবে। সুস্থ, মানসম্মত, সুন্দর পরিবেশে কাজ করতে চাইলে ছাত্রজীবন থেকেই সেই মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রজীবনে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে মানবতাও অর্জন করতে হবে। শিক্ষকের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। শিক্ষকের আদেশ পালন করলে একজন শিক্ষার্থী অবশ্যই ভালো গুণাবলী অর্জন করতে পারে। কারণ শিক্ষকই একজন শিক্ষার্থীকে সৎ ও মেধাবী করে তোলে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, "যাদের মধ্যে সহনশীলতার মনোভাব আছে তারাই শিক্ষক হওয়ার উপযুক্ত নয়।" তাই শিক্ষককে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে বসাতে হবে। শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রাখা। পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে যা তাদের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করবে।
শিক্ষার্থীরা একটি দেশের সচেতন নাগরিক। যদিও অধ্যয়ন শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য, সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তারাই দেশকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের দেশে অনেক দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত পরিবার রয়েছে যেখানে মাত্র একজন সদস্য শিক্ষিত। সেই সদস্য পুরো পরিবারে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে। শুধু পরিবার বা সমাজ নয়, গোটা জাতির নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্রসমাজকে সাহায্য করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক, সেখানে ছাত্র সমাজের উচিত পরিবার পরিকল্পনা এবং উচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য সংগঠিত করা। সমাজ ও স্কুল ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসমুক্ত করার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের কাঁধে নিতে হবে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোগত কারণে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে বাড়ছে বেকারত্ব। তবে শিক্ষার্থীদের উচিত নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করা। শিক্ষিত যুবকরা তাদের মেধা ও শ্রমকে কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, নার্সারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজে লাগালে দেশের উন্নয়ন বাড়বে এবং বেকারত্বও কমবে।
অনাচার, অন্যায়, অত্যাচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা সর্বদা সোচ্চার। আদর্শগতভাবে তারা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। রাজনীতির বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা ছাত্রদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যুগে যুগে ছাত্র সমাজ দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। একটি শিক্ষিত, ব্যক্তিবাদী ছাত্র সমাজ কখনই পরাধীনতার ভার বহন করতে চায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তাছাড়া মাতৃভাষার জন্য তারা যে আত্মত্যাগ করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। ১৯৬২ সালের হামিদুর রহমানের শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রসমাজ গৌরবময় ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমানে ছাত্ররা রাজনীতির প্রকৃত আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং তাদের জীবন নষ্ট করছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে মেধাবীরা।
চ্যারিটি শুরু হয় বাড়িতেই শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের পরিবার থেকে অনেক কিছু পায়, তেমনি তাদের পরিবারের প্রতিও অনেক দায়িত্ব থাকে। পরিবারের সবাই তাদের কাছ থেকে ভালো আচরণ আশা করে। পিতা-মাতা ও পরিবারের বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, ছোটদের স্নেহ করা তাদের কর্তব্য।
ছাত্ররা তাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম লালন করে। তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং বিনা দ্বিধায় তাদের জীবন বাজি রাখতে পারে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে, তারা দেশটিকে আরও ভালোভাবে আলিঙ্গন করতে পারে। ছাত্র সমাজ মানে তরুণ সমাজ। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এই তরুণ সমাজকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। তাদের মধ্যে কোন ক্লান্তি, কোন দ্বিধা থাকা উচিত নয়। বন্যাপ্রবণ, ঝড়-কবলিত এলাকায় তাদের উচিত সবসময় অসহায়দের সেবার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
কাজ করার সময় কাজ করুন, খেলার সময় খেলুন, এবং এটিই সুখী হওয়ার উপায়" নীতি অনুসরণ করে; শিক্ষার্থীরা তাদের সাফল্যের শিখরে আরোহণ করতে পারে। ছাত্রদের প্রথম কাজ হল পড়াশুনা করা। তাদের এক দিনের কাজ অন্য দিনের জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। ব্যক্তিজীবনে, সামাজিক জীবনে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ছাত্রজীবন থেকে সুশৃঙ্খলভাবে বেড়ে ওঠা কর্মজীবনেও প্রভাব ফেলবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে শেখানো হয় না। তাদের নৈতিক মূল্যবোধ এবং শিষ্টাচার শেখানো হয়। নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষার্থীকে সৎ, কর্তব্যপরায়ণ, নিয়মানুবর্তিতা, পরিশ্রমী এবং সর্বোপরি উত্তম চরিত্রে পরিণত করে। সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্য নৈতিকতার প্রয়োজন। শিষ্টাচার ও সৌজন্য ছাত্র সমাজকে নম্র ও শুদ্ধ চরিত্রে পরিণত করে। শিক্ষার্থীরা পরিবারের সদস্য, শিক্ষক এবং সহপাঠীদের প্রতি মার্জিত আচরণের সাথে সবার কাছ থেকে ভালবাসা, প্রার্থনা এবং সমর্থন পায়। নৈতিক মূল্যবোধ এবং শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে ভালো আচরণ ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে।
খেলা এবং স্কুলের জন্য বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের সতর্ক হতে হবে। ভদ্র, ভদ্র এবং অধ্যয়নরত বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করলে ভালো ছাত্র হওয়া সম্ভব। আবার খারাপ ছেলেদের সাথে বা নিজের বয়সের চেয়ে বড় কিছু পরিণত ছেলেদের সাথে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। ভালো মানুষের সাহচর্যে থাকলে ভালো চরিত্র ও ভালো গুণাবলী অর্জন করা যায়।
ছাত্রজীবন শুধু পড়ালেখা নয়। এছাড়া শরীরের যত্ন নিতে হয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হয়। কারণ একজন দুর্বল রেগা ছাত্র পরিশ্রম করতে পারে না। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম অপরিহার্য। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আপনার নিয়মিত বিশ্রাম এবং ঘুমানো উচিত। কারণ একটি সুস্থ মন সুস্বাস্থ্যের মধ্যে বিদ্যমান। একটি সুস্থ মন ভালো শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম।
ছাত্রজীবনের পরপরই ক্যারিয়ার শুরু হয়। প্রকৃতপক্ষে, ছাত্রজীবন একটি বৃহত্তর কর্মজীবনের জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক পর্যায়। এ সময় ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। তাই ছাত্রজীবনে পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত না হয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদাসীন হওয়া উচিত। উদ্দেশ্যহীন অধ্যয়ন কর্মজীবনে খুব একটা সুফল বয়ে আনে না। তাই ছাত্রজীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে শিক্ষা গ্রহণ করলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবন হবে অর্থবহ ও সুন্দর।
দেশ ও জাতি সৎ, চরিত্রবান, সুশৃঙ্খল, কর্তব্যপরায়ণ ও বিনয়ী একটি পরিশ্রমী ছাত্র সমাজ কামনা করে। সম্প্রতি ছাত্রসমাজ আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। ছাত্ররা রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যা দেশ ও জাতির জন্য মোটেও কাম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে জাতি শিকড়হীন হয়ে পড়বে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত আদর্শে আলোকিত হতে হবে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিক্ষা ও মূল্যবোধের পূর্ণ ব্যবহার করাই শিক্ষার্থীদের আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত।