একদা বাগদাদের রাজার দুই মেয়ে ছিল। এই দুই রাজকন্যা ছাড়া তার আর কোনো রাজকুমার ছিল না। দুই রাজকন্যা রাজার খুব প্রিয় ছিল। দুই রাজকন্যার জন্য দশ-পনের জন দাসী সর্বদা প্রস্তুত থাকত। একটি রাজকুমারী কি প্রয়োজন হবে এবং তারা আদেশ মান্য করা হবে. উভয় রাজকুমারীর একটি বিড়াল ছিল। দুটি বিড়াল সবসময় তাদের সঙ্গী ছিল। যখন তারা খেতে বসত এমনকি যখন তারা ঘুমাতে যেত, তখন বিড়াল দুটি একসাথে থাকত। তাই দুই রাজকন্যা বড় হয়েছে। তাদের বিয়ে হয়ে গেল। তখন রাজার দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে, কারণ এই বিশাল রাজ্যের দায়িত্ব তাকে দিতে হবে এই দুই রাজকন্যার জামাইকে। তাই এরকম যোগ্য দুই ছেলে পাওয়া উচিত। যারা এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি ভালোভাবে পালন করতে পারবে। সারা রাজ্যে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুই ভাইকে পাওয়া গেল যাদের সাথে রাজা ভেবেছিলেন রাজকন্যাদের বিয়ে হতে পারে। তারপর অনেক ধুমধাম করে বিয়ে করলেন দুই রাজকন্যা। তারপর রাজা দুই পুত্রবধূর মধ্যে রাজ্যের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে দেন। এরপর দুই ভাই রাজ্য পরিচালনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকদিন দুজনের দেখা নেই। হঠাৎ রাজ্যের এক বড় অনুষ্ঠানে দেখা হয় দুই ভাইয়ের। এরপর এতদিন পর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আবেগে আপ্লুত হন দুজনেই। তারপর ছোটভাই নানা কথায় জিজ্ঞেস করলো তাদের মেয়ের জামাই রাজকন্যাদের কথা কি বোঝায়। তখন বড় ভাই বললেন, হুম, বড় রাজকন্যা তাকে অনেক পছন্দ করে। তাকে কোন কাজ করতে হবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি শুনে ছোট ভাই বলল ছোট রাজকুমারী তাকে পাত্তা দেয় না। সব সময় রাগ রাগি আবার কখনো হাত তুলে। তখন বড় ভাই জিজ্ঞেস করলেন কিভাবে রাজকন্যাকে বশ করলেন? তখন বড় ভাই বললেন,,, রাজকুমারীর বিড়ালের কথা। ছোট ভাই বলল হ্যাঁ, সে আমার চেয়ে ওই বিড়ালটাকে বেশি যত্ন করে। বড় ভাই বললেন,,,,,,,,,,,প্রথম দিন রাতে ঘরে ঢুকেই সেই বিড়ালটাকে তরবারি দিয়ে একটা ঘা দিয়েছিলাম। ব্যাস এক সময়ে দুটি অংশ। এই ঘটনায়, বড় রাজকন্যা ভেবেছিলেন যে আমি অবশ্যই একজন মহান নায়ক হতে হবে এবং তখন থেকেই তিনি আমাকে খুব পছন্দ করেন। একথা শুনে ছোট ভাই মনে মনে ভাবল, আজ বাড়ি ফিরে বিড়ালের জীবন নষ্ট করতে হবে। তারপর আবার অনেকদিন পর দুই ভাইয়ের দেখা। এবার ছোট ভাইয়ের গায়ে অনেক দাগ। বড় ভাই জিজ্ঞেস করলেন কি খবর আপনি যুদ্ধে আহত হয়েছেন নাকি? ছোট ভাই বলল, না ভাই, আপনার গল্প শুনে আমি সেদিন তলোয়ার নিয়ে বাড়ি গিয়ে বিড়ালটিকে দুই ভাগ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ছিল উল্টোটা। শাস্তি হিসেবে আমাকে এক মাস জেলে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। তখন বড় ভাই বললেন, বিড়ালকে রাতে মেরে ফেলতে হবে, পরে মেরে লাভ নেই।
এই পোস্টে বর্তমানে কোন মন্তব্য নেই.