মূলভাব
চরিত্র মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঠিক হলে একজন মানুষ জীবনের কোথাও আটকে থাকে না। সকল বাধা অতিক্রম করে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যান।
সম্প্রসারিত ভাব
পৃথিবীর কোনো মানুষ শুধু খেয়ে বাঁচতে চায় না। মানুষের মতো বাঁচতে চায়। আর তার জন্য উত্তম চরিত্র থাকা অপরিহার্য। চরিত্র ছাড়া মানুষের গর্ব করার কিছু নেই। চরিত্রহীন মানুষ পশুর মতো। ধাপে ধাপে তাদের অপমান সহ্য করতে হয়। কেউ তাদের বিশ্বাস করে না, ভালোবাসে না। চরিত্র এমন একটি সম্পদ যা অর্থের পরিপ্রেক্ষিতে পরিমাপ করা যায় না।
সুপরিচিত ইংরেজ লেখক স্যামুয়েল স্মাইলস তার 'চরিত্র' প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে "জীবনের মুকুট এবং গৌরব হল চরিত্র", সততা, সত্যবাদিতা, প্রেম, পরার্থপরতা, দায়িত্ব, শৃঙ্খলা এবং কর্তব্য চরিত্রের প্রধান উপাদান। কেবলমাত্র সেই উপাদানগুলিকে বৈশিষ্ট্য হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে যেখানে তারা বিদ্যমান। মানুষের জীবনে স্বাস্থ্য, অর্থ ও জ্ঞান অপরিহার্য। কিন্তু একজন মানুষের যদি তার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য, সম্পদ এবং জ্ঞান থাকে, যদি সে চরিত্রহীন হয়, তবে সবকিছুই বৃথা। চরিত্রবান মানুষ পাথরের মতো। বালি পাথরের স্পর্শে পাথর যেমন পাথরে পরিণত হয়, তেমনি চরিত্রবান ব্যক্তির প্রভাবে তার চারপাশের মানুষ সুন্দর ও মহৎ হয়ে ওঠে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), যীশু খ্রীষ্ট (যীশু), গৌতম বুদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মীয় নেতা, রাষ্ট্রনায়ক যেমন আব্রাহাম লিংকন, লেনিন, সক্রেটিস, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং অন্যান্য দার্শনিক ও সাহিত্যিক ব্যক্তিবর্গ উজ্জ্বল উদাহরণ। চরিত্রবান মানুষ পার্থিব লালসা, প্রেম-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে। পার্থিব ধন-সম্পদ চরিত্রের কাছে খুবই নগণ্য। প্রাচুর্যের বিনিময়ে পৃথিবীর সব কিছু কেনা যায়, কিন্তু চরিত্র কেনা যায় না।
মন্তব্য করুন
চরিত্রবান ব্যক্তি সকল মানুষের আদর্শ। তাই ছোটবেলা থেকেই চরিত্রবান হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কারণ চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ