সঙ্গদোষে লােহা ভাসে

ভাব সম্প্রসারণ

  • ৬ মাস আগে
  • |
  • ১৪২ জন দেখেছেন

মূলভাব: যে সমাজে মানুষ তার জীবনের জন্য নির্ভর করে, সেখানে জ্ঞানী-মূর্খ, ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ নানা ধরনের মানুষ রয়েছে। সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে গুণের গুণ যার সাহায্যে জীবন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। দুর্বৃত্ত বা অসাধু ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ নেই। তাই সারাজীবন কুসঙ্গ থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত।

সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ তার চরিত্র। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, 'The crown and glory of life is character'। মানুষ তার চরিত্রের গুণে শ্রেষ্ঠ আদর্শের মর্যাদা পায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি বজায় রেখে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি বিকাশ করা প্রয়োজন। তাই আপনাকে সৎসঙ্গের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে, কুসঙ্গ নয়। মন্দের সাথে মানুষ অমানুষ হয়ে যায়, তার ভালো গুণগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং সে পশুর মতো নিচু হয়ে যায়। মানুষ স্বভাবতই সত্যের পূজারী, সৌন্দর্যের অনুসারী। আর ভুল পথে চলার প্রধান কারণ হল অসততা। উদাসীনতার মাধ্যমে মানুষের চরিত্র নষ্ট হয়। লোহা ওজনে খুব ভারী হওয়ায় পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু এই ভারী লোহাকে যদি হালকা কাঠ বা কোনো অকেজো জিনিস দিয়ে বেঁধে রাখা যায়, তাহলে লোহা ভেসে যাবে, ডুববে না।

মানুষের মধ্যেও খারাপ মেলামেশার প্রভাব এভাবেই কাজ করে। সাহচর্যে মানুষ বদলে যায়। কুসঙ্গ চরিত্রহীনতার অন্যতম কারণ। কিন্তু জীবনের মহিমা ঘোষিত হয় চরিত্রের মাধ্যমে। চরিত্রের মহৎ গুণটি সর্বোপরি স্বীকৃত কারণ চরিত্রের মাধ্যমে জীবনের গৌরবময় বৈশিষ্ট্যগুলি অন্য কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। উত্তম চরিত্র যার মূলে জীবন সমৃদ্ধ হয় এবং যার গুণে মানুষ সমাজে সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রচমণির স্পর্শে পাথর যেমন সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়, তেমনি সৎ চরিত্রের প্রভাবে মানুষের পশুপ্রবৃত্তি পরাভূত হয়, সৎ, সুন্দর ও মহৎ জীবনের আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয়। আবার সঙ্গদোষে মানুষ তার চরিত্র হারিয়ে পশুর চেয়ে নীচু হয়ে যায়।

মন্তব্য: এই পৃথিবীতে মানুষের অধঃপতনের অন্যতম কারণ হল অসুখীতা। যদিও মানুষ সতর্ক থাকে, তারা পাপে পড়ে এবং তাদের অজান্তেই পাপের দিকে পরিচালিত হয়। তাই কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

আরও দেখুন

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
প্রবন্ধ রচনাসমূহ
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
প্রবন্ধ রচনাসমূহ
শিষ্টাচার
শিষ্টাচার
প্রবন্ধ রচনাসমূহ