বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন

প্রতিবেদন রচনা

  • ২ মাস আগে
  • |
  • ৭৬ জন দেখেছেন

বিজয় দিবসে জাতি উল্লাস করছিল

বিজয় দিবসে বাংলাদেশ জমকালো উৎসবে মেতেছে। রাত বারোটায় সারাদেশে আতশবাজি, কামান ও শিস দিয়ে স্বাগত জানানো হয় বিজয় দিবসকে। পাড়ায় পাড়ায় মাইক্রোফোনে বাজত মুক্তিযুদ্ধের গান।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি-বেসরকারি সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, পথনাটকসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের দিনগুলো নিয়ে বিভিন্ন লিখিত ও বর্ণনামূলক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। রেডিও ও টেলিভিশনে মুক্তিযুদ্ধের গান, নাটক ও কবিতা প্রচারিত হয়। ঢাকা শহরে ভিড় নেমে আসে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, রমনার বটমূল, টিএসসি, বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ আশপাশের এলাকাগুলো সব বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখরিত।

১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২:০১ মিনিটে টিএসসিতে আতশবাজি ও ৪৪টি ফানুস জ্বালিয়ে বিজয় দিবসকে স্বাগত জানানো হয়। তারপর কিছুক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধ লেজার লাইট শো চলে। এরপর শুরু হয় দেশাত্মবোধক গান ও আবৃত্তি। জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে গোটা এলাকা।

এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট অনেক মঞ্চ তৈরি করেছে। দেশের কৃতি সন্তানদের নামে ওই স্টেজের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন নরেন বিশ্বাসের আবৃত্তি মঞ্চ, শওকত ওসমানের নাটক মঞ্চ ইত্যাদি কনসার্ট, আবৃত্তি, খরমপত্র পাঠ, কবিকণ্ঠে কবিতা, বাউল গান ইত্যাদি।

বিজয় দিবসের ভোরে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ৭১ বছরের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

বিকেলের পর থেকে উৎসব আরও উৎসাহী ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় ঢাকা শহর সাজানো হয় সুন্দর আলোয়। মানুষ আনন্দে শহরে ঘুরে বেড়ায়। বিজয় উদযাপনে সমগ্র জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়।

প্রতিবেদক

আবুল কাশেম 

কালাই জয়পুরহাট 

 

আরও দেখুন

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
প্রবন্ধ রচনাসমূহ
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
প্রবন্ধ রচনাসমূহ
শিষ্টাচার
শিষ্টাচার
প্রবন্ধ রচনাসমূহ